ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কেমন ২০২৩ । ফোরাত নদী কোথায় অবস্থিত? - Furat Nodir Bortoman Obsta

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২৩

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কেমন


ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । ফোরাত নদী কোথায় অবস্থিত? : ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কিয়ামতের অন্যতম আলামত। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই সম্পদের লোভ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

আর তাই আল্লাহ তায়ালা কিছু লোভী প্রকৃতির মানুষকে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় প্রকাশ করে পৃথিবী থেকে নির্মূল করে দিবেন। মূলত এই আলামতটি আমাদের একেবারেই নিকটবর্তী। কিন্তু আমাদের মাঝে পর্যাপ্ত হাদীসের জ্ঞান না থাকার কারণে, আমরা কেউই বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছি না। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে? 

 

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,“অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত সোনার ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দেবে। সে সময়ে এ ওখানে উপস্থিত থাকবে, সে যেন তার থেকে কিছুই গ্রহণ না করে”। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

(সহিহ বুখারি, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬০৫; সুনানে তিরমিজি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৬৯৮)

আরো পড়ুন:

►► কম দামে ভালো ফোন

►► দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম

►► শুভ বিবাহ শুভেচ্ছা মেসেজ

►► বেস্ট ক্যাপশন বাংলা Attitude

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 

►► মেয়ে পটানোর রোমান্টিক লাভ লেটার

আগামী ৭ দিনের আবহাওয়ার খবর

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২২, ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী, ফোরাত নদী,


ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা

** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “সেই পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ফোরাত থেকে সোনার পাহাড় বের হবে। তার জন্য মানুষ যুদ্ধ করবে এবং প্রতি একশ জনে নিরানব্বই জন লোক মারা যাবে। যে কজন জীবনে রক্ষা পাবে, তারা প্রত্যেকে মনে করবে, বোধ হয় একা আমিই জীবিত আছি”।

(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২১৯) ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২২, ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী, ফোরাত নদী, ফুরাত নদী কোথায়

ফোরাত নদী কোথায় অবস্থিত? এবং বর্তমানে ফোরাত নদীর অবস্থা কি?

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে

ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কিয়ামতের অন্যতম আলামত। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই সম্পদের লোভ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।  ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

আর তাই আল্লাহ তায়ালা কিছু লোভী প্রকৃতির মানুষকে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় প্রকাশ করে পৃথিবী থেকে নির্মূল করে দিবেন। মূলত এই আলামতটি আমাদের একেবারেই নিকটবর্তী। কিন্তু আমাদের মাঝে পর্যাপ্ত হাদীসের জ্ঞান না থাকার কারণে, আমরা কেউই বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছি না। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

 

** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,“অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত সোনার ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দেবে। সে সময়ে এ ওখানে উপস্থিত থাকবে, সে যেন তার থেকে কিছুই গ্রহণ না করে”। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

(সহিহ বুখারি, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬০৫; সুনানে তিরমিজি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৬৯৮)

 

** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “সেই পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ফোরাত থেকে সোনার পাহাড় বের হবে। তার জন্য মানুষ যুদ্ধ করবে এবং প্রতি একশ জনে নিরানব্বই জন লোক মারা যাবে। যে কজন জীবনে রক্ষা পাবে, তারা প্রত্যেকে মনে করবে, বোধ হয় একা আমিই জীবিত আছি”।

(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২১৯) ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে

ফোরাত নদী (Euphrates river) তুরস্ক থেকে সিরিয়ার উপর দিয়ে ইরাকে গিয়ে শেষ হয়েছে।এর দৈর্ঘ্য ২৭০০ কিঃমিঃ এবং এর ৯০%পানির উৎস হল তুরস্কের মুরাত নদী (Murat river) এবং কারাসু নদী ( karasu river) । 

 

তুরস্কের বিরেচিক ,সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ, দেইর আজ জুর, মাদায়েন, আবু কামাল ইরাকের আল কায়েম, হাদিথা, রামাদি, ফালুজা, নাজাফ, নাসিরিয়া, কুফা শহর গুলো মূলত এই ফোরাত নদীর উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাক সরকার এখন পর্যন্ত ১২ টি ছোট বড় বাধ নির্মাণ করার কারনে ১৯৯৯ সালের পরে ফোরাত নদীর পানি আশংকাজনক হারে কমতে শুরু করেছে।  ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?


হাদীসে বলা হয়েছে, ফোরাত নদীর পানি শুকিয়ে স্বর্নের পাহাড় আবিষ্কৃত হবে। বর্তমান অবস্থার সাথে মিলিয়ে দেখলে বুঝা যায়, সেটি খুব বেশি দূরে নয়।কারন Global water forum এর গবেষণায় দেখা গেছে, ফোরাত নদীর পানি খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে।


ফোরাত নদী (Euphrates river) তুরস্ক থেকে সিরিয়ার উপর দিয়ে ইরাকে গিয়ে শেষ হয়েছে।এর দৈর্ঘ্য ২৭০০ কিঃমিঃ এবং এর ৯০%পানির উৎস হল তুরস্কের মুরাত নদী (Murat river) এবং কারাসু নদী ( karasu river) । তুরস্কের বিরেচিক ,সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ, দেইর আজ জুর, মাদায়েন, আবু কামাল ইরাকের আল কায়েম, হাদিথা, রামাদি, ফালুজা, নাজাফ, নাসিরিয়া, কুফা শহর গুলো মূলত এই ফোরাত নদীর উপরেই নির্ভরশীল।

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে

 কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাক সরকার এখন পর্যন্ত ১২ টি ছোট বড় বাধ নির্মাণ করার কারনে ১৯৯৯ সালের পরে ফোরাত নদীর পানি আশংকাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। হাদীসে বলা হয়েছে, ফোরাত নদীর পানি শুকিয়ে স্বর্নের পাহাড় আবিষ্কৃত হবে। বর্তমান অবস্থার সাথে মিলিয়ে দেখলে বুঝা যায়, সেটি খুব বেশি দূরে নয়।কারন Global water forum এর গবেষণায় দেখা গেছে, ফোরাত নদীর পানি খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে।

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কি ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে?

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় প্রকাশ পাওয়া সংক্রান্ত হাদিস সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় বর্তমানে অনলাইনে কিছু নামদারি গবেষক বলতে শুরু করেছেন, স্বর্নের পাহাড় নাকি ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে? যাদের মধ্যে শাইখ ইমরান নজর ও তার অনুসারীরা অন্যতম। 


যদিও আরব বিশ্বের কোন ইসলামিক স্কলারদের কেউ এখন পর্যন্ত এরকম উদ্ভট ব্যাখ্যা করেননি। তাদের যুক্তি হল, বর্তমান বিশ্বে তেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, আর তৈলকে যেহেতু (Black gold) বলা হয়ে থাকে, তাই তৈল, গ্যাস এসবই হল হাদীসে বর্নিত সোনার পাহাড়। আর তাদের এসব যুক্তি যে, একেবারেই বানোয়াট ও মূর্খের পর্যায়ে পড়ে তা বিশ্লেষণ করা হলঃ ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

১, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীসে তৈল সংক্রান্ত কিছু বোঝাতে তিনি “কাফিসু”(قفيز) শব্দটি ব্যবহার করেছেন। টাকা পয়সার জন্য “দিরহাম” (درهم) শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আর স্বর্নের জন্য “জাহাবুন” (ذهبن من جبل) শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং – ৭০১৩ ইঃফাঃ)

 

তাই যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বর্নের পাহাড় বোঝাতে “জাহাবুন মিন জাবাল” বলেছেন, সেখানে হাদীসের ইংরেজী অনুবাদ পড়ে Gold কে আবার black gold ভেবে তৈলের সাথে তুলনা করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।

২, ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠবে প্রথম সুফিয়ানীর উত্থানের পর, যেহেতু এখনও প্রথম সুফিয়ানীর উত্থান হয়নি, তাই স্বর্নের পাহাড় প্রকাশ পেয়েছে এরকম সকল ব্যাখ্যা বাতিল বলে গণ্য হবে। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

৩, স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠবে সিরিয়ার ফিতনা ১২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর রমজান মাসে। তাই এখনই স্বর্নকে তৈল বানিয়ে ব্যাখ্যা করা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না।

৪, স্বর্নের পাহাড় কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধ হবে তাকে বলা হয়েছে “কিরকিসিয়ার যুদ্ধ” এবং এই যুদ্ধে কেবলমাত্র তিনটি পক্ষ থাকবে। তুরস্ক, রোম (আমরিকা), এবং সুফিয়ানী। তাই এই যুদ্ধকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা আমাক প্রান্তের মালহামা মনে করাও বোকামি।


৫, স্বর্নের পাহাড় দখল করতে আসা তুরস্ক, আমরিকা ও সুফিয়ানীর ৯৯% যোদ্ধা নিহত হবে। যার সর্বমোট সংখ্যা হবে ১ লক্ষ কিংবা ১ লক্ষ ৬০ হাজার। তাই স্বর্নের পাহাড় দখলের জন্য যে যুদ্ধ হবে সেখানে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে এরকম ব্যাখ্যা করাও বোকামি।

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২২, ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী, ফোরাত নদী, ফুরাত নদী কোথায়

স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ) 

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি । স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে

বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, চতূর্থ ফিৎনা হচ্ছে, অন্ধকার অন্ধত্বপূর্ন ফিৎনা। যা সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় উত্তাল হয়ে উঠবে, আরব অনারবের কোনো ঘর বাকি থাকবেনা, যেখানে উক্ত ফিৎনা প্রবেশ করবেনা? এই ফিতনা দ্বারা মুসলমানেরা লাঞ্ছিত অপদস্ত হতে থাকবে।  ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?


ফিৎনাটি শাম দেশে (সিরিয়ায়) চক্কর দিতে থাকলেও রাত্রিযাপন করবে ইরাকে। তার হাত পা দ্বারা আরব ভুখন্ডের ভিতরে বিচরন করতে থাকবে। উক্ত ফিৎনা এ উম্মতের সাথে চামড়ার সাথে চামড়া মিশ্রিত হওয়ার ন্যায় মিশে যাবে, তখন বালা মুসিবত এত ব্যাপক ও মারাত্নক আকার ধারন করবে যা দ্বারা মানুষ ভালো খারাপ নির্ণয় করতে পারবেনা। ঐ মুহুর্তে কেউ উক্ত ফিৎনা থামানোর  সাহস ও রাখবেনা। 


একদিকে একটু শান্তির সুবাতাস বইলেও অন্যদিকে ফিৎনা তীব্র আকার ধারন করবে। সকালবেলা কেউ মুসলমান থাকলেও সন্ধা হতে হতে সে কাফের হয়ে যাবে। উক্ত ফিৎনা থেকে কেউ বাঁচতে পারবেনা। কিন্তু শুধু ঐ লোক বাঁচতে পারে, যে সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তির ন্যায় করুন সুরে আকুতি জানাতে থাকে। 


সেটা প্রায় ১২ বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে এবং এক পর্যায়ে সকলের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে ফুরাত নদীতে স্বর্নের একটি ব্রিজ (পাহাড়) প্রকাশ পাবে। যা দখল করার জন্য সকলে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে এবং প্রতি নয় জনের সাতজন মারা পড়বে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৬৭৬ ]

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২২, ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী, ফোরাত নদী, ফুরাত নদী কোথায়

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা

** হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন চতূর্থ ফিতনা বা যুদ্ধ ১২ বছর স্থায়ী হবে। যখন অবসান হবে তখন অবসান হবে। ( অর্থাৎ ১২ বছর সময় শেষ হবে তারপর) স্বর্ণের পাহাড় থেকে ফুরাতকে খুলে দেওয়া হবে। অতপর তার উপর প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯৭০ ]

 

আল্লাহ আকবর…..আমরা সবাই জানি চতুর্থ ফিতনা বা, সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২০১১ সালে। আর বর্তমান অবস্থা ১২ বৎসর স্থায়ী থাকবে, তারপর ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে ওঠবে। অর্থাৎ ২০১১+১২ =২০২৩ সালের রমজান মাসে (অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২২ ই মার্চ থেকে ২০ ই এপ্রিলের মধ্যে) ইনশাআল্লাহ।

 

তবে কিতাবুল ফিতানের ৯৭২ নং হাদীসে বলা হয়েছে, চতুর্থ ফিতনা ১৮ বছর স্থায়ী থাকবে তারপর ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে উঠবে। এই মতটি গ্রহন করেছেন, লেবাননের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা আলী আল কুরানী। 

 

তিনিও বলেছেন চতুর্থ ফিতনা ১৮ বছর স্থায়ী থাকবে তারপর ফোরাত নদীতে সোনার পাহাড় ভেসে উঠবে। অর্থাৎ ২০১১+১৮ =২০২৯ সালে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে সুফিয়ানী ও মাহদীর উত্থান নিয়ে ব্যাপক গবেষণার পর মনে করি, চতুর্থ ফিতনা ১২ বছর স্থায়ী থাকবে এই মতটি বেশি গ্রহণযোগ্য। ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

 

কোথায় স্বর্নের পাহাড় ভেসে ওঠবে?

সিরিয়ার দেইর-আজ-জুর (Deir-ez-zur) প্রদেশের কিরকিসিয়া নামক ঐতিহাসিক এলাকার নিকটবর্তী স্থানেই ২০২৩ সালে স্বর্নের পাহাড় ভেসে ওঠবে (ইনশাল্লাহ)। 

 

আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হল, সিরিয়ার দেইর আজ জুর প্রাদেশিক সরকার ২০০৯ সালে এই এলাকার শুষ্ক মৌসুমে ঠিকমত কৃষিজমিতে ও শহরে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে করার জন্য হালাবিয়্যাহ বাধ (Halabiya Dam) নির্মাণ করার কাজ শুরু করে, যেটি ২০১২ সালে শেষ হয়েছে। তার পর থেকেই দেইর আল জুর প্রদেশে পানির স্বল্পতা দেখা যাচ্ছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি হাদীসের বর্ননার সাথে পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে।

 

** হযরত আরতাত (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন তুর্কী(তুরস্ক) , রোম (আমরিকা) এবং খাসাফ জাতি (রাশিয়া) দামেস্কের এক প্রান্তরে জমায়েত হবে এবং দামেস্কের মসজিদের পশ্চিম প্রান্তে আরেকদল ভুপাতিত হবে তখনই শাম দেশে (সিরিয়াতে) আবকা (Tuareg Militant) , আসহাব (Islamic state) এবং সুফিয়ানীদের তিনটি ঝান্ডা প্রকাশ পাবে। 

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২২, ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী, ফোরাত নদী, ফুরাত নদী কোথায়

দামেস্ক এলাকাকে জনৈক লোক ( বাশার আল আসাদ) অবরুদ্ধ করে রাখবে। এক পর্যায়ে সেই লোক (বাশার আল আসাদ) এবং তার সাথীদেরকে (সিরিয়া, ইরান, রাশিয়া, হিজবুল্লাহ ও শিয়া মিলিশিদের) হত্যা করা হলে, বনু সুফিয়ান থেকে আরো দুইজন(প্রথম সুফিয়ানী ও দ্বিতীয় সুফিয়ানী) লোকের আত্মপ্রকাশ হবে। 

 

তখন যেন (শিয়াদের জন্য) দ্বিতীয় বিজয় পাওয়া গেল। অতঃপর যখন আবকা গোত্রের লোকজন (Tuareg Militant) মিশর থেকে এগিয়ে আসবে তখনই সুফিয়ানী তার সৈন্যদের সাহায্যে তাদের সামনে আত্নপ্রকাশ করবে। 

 

রোম (আমরিকা) এবং তুর্কীরা (তুরস্ক) মিলে কিরকিসিয়া (দেইর আজ জুর) নামক স্থানে তাদেরকে হত্যা করবে এবং তাদের গোশত দ্বারা জঙ্গলে বাঘ-ভল্লুকরা তৃপ্ত হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮৩৩ ]

 ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

স্বর্নের পাহাড়কে কেন্দ্র করে কার বিরুদ্ধে কে যুদ্ধ করবে?

সিরিয়ার দেইর আজ জুরের নিকটবর্তী ঐতিহাসিক কিরকিসিয়া নামক স্থানে যখন স্বর্নের পাহাড়টি ভেসে উঠবে। তখন সিরিয়ায় প্রথম সুফিয়ানী ক্ষমতায় থাকবে। সে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতি ( Islamic state) এবং হলুদ পতাকাবাহী তাওয়ারেগ (Tuareg)দেরকে সিরিয়া থেকে বিতাড়িত করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবে। 

 

তার পরেই ২০২৩ সালে রমজান মাসে (ইনশাল্লাহ) ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠবে, তখন তুরস্ক ও আমরিকান জোট এটি দখল করতে এগিয়ে আসবে। তখন প্রথম সুফিয়ানী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে এবং এই যুদ্ধে ১ লক্ষ বা, ১ লক্ষ ৬০ হাজার লোক নিহত হবে। 

 

কিন্তু কেউ এটি দখল করতে পারবে না।

তবে সত্যিকারের মুসলমানদের জন্য আনন্দের বিষয় হল, ফোরাত নদীতে ভেসে ওঠা স্বর্নের পাহাড় দখলের জন্য কোন হেদায়েত কারী দল বা, পতাকা যুদ্ধে জড়াবে না। কেবলমাত্র মুনাফিক, মুরতাদ ও কাফেরদেরকে আল্লাহ তায়ালা সোনার পাহাড় উন্মুক্ত করে স্বাস্তি প্রদান করবেন।

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

ফোরাত নদী কোথায় অবস্থিত? এবং বর্তমানে ফোরাত নদীর অবস্থা কি?

তুরস্ক ও আমরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে সিরিয়াতে শিয়া নুসাইরী ও আলাবী সম্প্রদায় ব্যপকভাবে হামলার মুখে পরবে এবং একইসাথে ইরাক ও সিরিয়াতে পুনরায় কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতি (Islamic state) এর ব্যপক উত্থান হবে ।

  1. দামেস্কের নিকটবর্তী হারাস্তা নামক এলাকায় একটি বড় ধরনের ভূমিধ্বস ঘটবে, যার কারণে রাশিয়া ও তাদের সহযোগীদের ১ লক্ষ লোক নিহত হবে।

  1. লিবিয়া, আলজেরিয়া, মালি ও মিশরে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির (Islamic state) সাময়িক সময়ের জন্য ব্যপক উত্থান হবে। (ইতোমধ্যেই তারা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই অঞ্চলে ৫ম সাহেল অভিযানের জন্য ব্যপক ভাবে সংগঠিত হওয়া ও প্রস্তুতি নিচ্ছে) 

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা ২০২২, ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী বর্তমান অবস্থা, ফুরাত নদী, ফোরাত নদী, ফুরাত নদী কোথা

  1. লিবিয়া, আলজেরিয়া, মালি ও মিশরে আসহাব জাতি (Islamic state) উত্থানের পর তাদের দমন করার জন্য হলুদ পতাকাবাহী বর্বর আবকা জাতি তাওয়ারেগ (Tuareg) সম্প্রদায়ের উত্থান হবে।

  1. হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি তাওয়ারেগ (Tuareg) সম্প্রদায় কতৃক লিবিয়া, মিশর জর্ডান দখলের পর সিরিয়ার হোমস শহরে এসে শহরটিকে ১৮ মাস অবরুদ্ধ করে রাখবে।

  1. হঠাৎ করে দক্ষিণ সিরিয়া ওয়াদিউল ইয়াবেস (Daraa শহর থেকে) বানু কাল্ব গোত্রের প্রথম সুফিয়ানীর উত্থান হবে, সে সিরিয়া থেকে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতি (Islamic state) এবং হলুদ পতাকাবাহী বর্বর আবকা জাতি (Tuareg Militant) সম্প্রদায়কে পরাজিত করে বের করে দিবে।

 

  1. সিরিয়ার দেইর-আজ-জুর এর নিকটবর্তী কিরকিসিয়া নামক স্থানে ফোরাত নদীতে ২০২৩ সালের রমজান মাসে স্বর্নের পাহাড় ভেসে ওঠবে।

 

  1. ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় কে দখল করার জন্য তুরস্ক ও আমরিকান জোটের দেইর আজ জুরের নিকটবর্তী কিরকিসিয়া নামক স্থানে আসবে, তখন প্রথম সুফিয়ানী ও তাদের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ বাধবে।


  1. কিরকিসিয়া যুদ্ধের পর ইরাকের কুফা (মসূল) নগরীতে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির (Islamic state) উপর সুফিয়ানী বড় ধরনের গনহত্যা চালাবে এবং তাদের ৭০ হাজার লোক নিহত হবে।

 

  1. মিশরে হলুদ পতাকাবাহী বর্বর আবকা জাতি  (Tuareg Militant) দেরকে সম্পূর্ণ ভাবে পরাজিত করার জন্য সুফিয়ানী কতৃক মিশর আক্রমণ করবে।

    খোরাসান (আফগানিস্তান ও তার পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহ থেকে) শুয়াইব বিন সালেহ ও হারস হাররাস এর নেতৃত্বে কালো পতাকাবাহী দল নিয়ে ইরানের ইস্তাখর নামক স্থানে আসবে এবং তারা সুফিয়ানীকে পরাজিত করবে।

     

  1. খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থানের ৬ বছর পর মক্কা নগরীতে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন হবে

ফোরাত নদীর বর্তমান অবস্থা কি এবং স্বর্নের পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?

ফুরাত নদীর বর্তমান অবস্থা 

ফোরাত নদীকে আরবিতে نهر الفرات  (নাহরুল ফুরাত) বলে। আর তুর্কিতে বলে firat (ফিরাত)। এই ফিরাত বা ফোরাত নদী দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি নদী। এটি তুরস্কে উৎপত্তি লাভ করে সিরিয়া ও ইরাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দজলা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং শাত আল আরব নামে পারস্য উপসাগরে গিয়ে পতিত হয়েছে। 

 

ফোরাত ও দজলা নদীর পানি ব্যবহার করেই প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতাগুলো বিকাশ লাভ করেছে এই নদীকে ব্যবহার করে । প্রাচীন ব্যাবিলনীয়,  আসিরিয় সভ্যতাগুলো  বিকাশ লাভ করেছে।

 

ফোরাত নদী ২,৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এর অববাহিকার আয়তন প্রায় ৪,৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এর মোট অববাহিকার মাত্র ৩০ শতাংশ তুরস্কতে অবস্থিত হলেও এর ৯০ শতাংশ পানির উৎস হলো তুরস্কের উচ্চভূমি। তুরস্কের কোরাসুয়ু নদী, মুরাত নদী এবং আরো অনেকগুলো নদী পূর্ব মধ্য তুরস্কে এলাজিগ এর কাছে মিলিত হয়ে ফোরাতের উর্ধ্ব অংশ গঠন করেছে। তারপর নদীটি আলাব শহরের ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সিরিয়াতে প্রবেশ করেছিল ।

ফোরাত নদী প্রতি বছর প্রায় ২৮০০ কোটি ঘনমিটার পানি বহন করে। এপ্রিল ও মে মাসে নদীটি সর্বোচ্চ পানি ধারন করে। ফোরাত নদীটি অনেক গভীর নয় বলেই এতে ছোট ছোট নৌকা ছাড়া আর কিছু চলাচল করতে পারে না। 


এটি মূলত তার পাশ্ববর্তী শহরগুলোতে পানি সরবরাহের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ। তাই দেখা যায় নদীটি তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির অন্যতম একটি মাধ্যম। এই তিনটি দেশই জমিতে সেচ দেয়।

ইনশাল্লাহ…

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url