উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি - Opatto Kake Bole?
উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কত প্রকার কি কি
উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কত প্রকার কি কি: বর্তমানে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হতে চলেছে। তাই শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত জরুরী। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডারে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে সকল তথ্য ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমে তথ্য প্রযুক্তির প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হলো। তথ্য প্রযুক্তির প্রাথমিক ধারণার অংশ হিসেবে বিদ্যাগুচ্ছের এই পাতাটিতে তথ্য ও উপাত্ত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অন্তর্ভূক্ত করা হলো।
উপাত্ত কাকে বলে?
উপাও: উপাত্ত বলতে এমন কিছু তথ্যকে বোঝায় যা নির্দিষ্ট কোনো চলকের বা এক সেট চলকের গুনগত ও পরিমাণ গত ধর্মাবলিকে প্রকাশ করে। বেশিরভাগ সময় কোনো পরিমাপ প্রক্রিয়ার ফল স্বরূপ এসব উপাত্ত সংগৃহীত হয়।
উপাত্তকে কানেকটিভিটি গ্রাফ, লেখচিত্র বা চলকসমূহের মান তালিকা রূপে উপস্থাপন করা হতে পারে। উপাত্তকে অনেক সময় সবচেয়ে নিচের স্তরের বিমূর্ত ধারণা হিসাবে দেখা হয়, যেখান থেকে তথ্য বা জ্ঞান আহরণ করা হয়ে থাকে।
তথ্য ও উপাত্ত (INFORMATION AND DATA) সম্পর্কে ধারণাঃ
কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান লাভ করতে হলে সেটির সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলে। যেহেতু ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলা হয় সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আসলে ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন বা যে কোন কিছু হতে পারে। ডেটা সাধারণত কোন সুনির্দিষ্ট বা যথাযথ অর্থ প্রকাশ করে না।
কিন্ত এই অগোছালো বা এলোমেলো ডেটাগুলোকে যৌক্তিক কোনো সিকোয়েন্স বা পরিসজ্জায় উপস্থাপন করলে তা একটি যথাযথ অর্থ প্রকাশ করবে যেখান থেকে কিছু সম্পর্কে জ্ঞান বা ধারণা অর্জন সম্ভব হবে। এটিকেই তথ্য বলা হয়। একটি তথ্যের দুইটি অংশ থাকতে হবে।
একটি হলো ডেটা, যেটি আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বৈশিষ্টাবলির মান প্রকাশ করে এবং অপরটি হলো নলেজ বা জ্ঞান যা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সত্যিকার কি সে সম্পর্কে একটি ধারণা প্রকাশ করে। তথ্য ও ডেটার একটি উদাহরণ দেয়া যাক।
যেমনঃ টি, ই, ১ , ব এই পৃথক বর্ণ, চিহ্ন বা সংখ্যা গুলো অগোছালো অবস্থায় থাকলে কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে না। কিন্তু এগুলোকেই একটি যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপন করলে “১টি বই ” যা একটি বস্তু এবং তার সংখ্যা – এই সুনির্দিষ্ট তথ্যকে প্রকাশ করে।
তথ্য ও উপাত্তের মধ্যে পার্থক্যঃ
ডেটা এবং তথ্যকে আপাতদৃষ্টিতে এক মনে হলেও এদের মধ্যে সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য বিদ্যমান।
তথ্য (INFORMATION) –
ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থা পাওয়া যায় তাকে তথ্য বলে।
তথ্য হলো প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা যা কম্পিউটারে আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়
সকল ডেটা তথ্য নয়।
যে কোন তথ্য থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়।
তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিকরণ করা যায় না।
কোন বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রের নাম,রোল নম্বর,সবগুলো বিষয়ের নম্বর এবং তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এ সব কিছু একত্রে ছাত্রটির সুনির্দিষ্ট কোন ইনফরমেশন বা তথ্যকে নির্দেশ করে।
উপাত্ত (DATA) –
অগোছালো অবস্থায় থাকা যে কোনো বর্ণ,চিহ্ন বা সংখ্যা এসব কিছুই হলো ডেটা।
ডেটা হলো প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব অবস্থা কম্পিউটারে যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সকল তথ্যই ডেটা।
ডেটা কোনো কিছুর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থবহ ধারণা দিতে পারে না।
ডেটা তথ্যের উপর নির্ভর করে না।
কোনো ছাত্রের ভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলো পৃথক পৃথকভাবে ডেটার উদাহরণ হতে পারে।
মানব জীবনে তথ্য ও উপাত্তের গুরুত্ব
আমাদের মানব জীবনে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা প্রতিনিয়ত নানা ইশারা, ইঙ্গিত, আওয়াজ ইত্যাদির মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উৎপন্ন করে থাকি। আর এই তথ্যগুলো পরস্পরের মাঝে বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা ভাবের আধান প্রদান করে থাকি। এখানে ইশারা, ইঙ্গিত ও আওয়াজ হচ্ছে উপাত্ত।
এ উপাত্তগুলোর সঠিক বিন্যাসের মাধ্যমে যে অর্থবোধক কিছু তৈরি হয় তাই তথ্য। আমাদের জীবনে এই তথ্যের আদান-প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনেক। কখনও কখনও তথ্যকে অনেক দূরবর্তী স্থানেও প্রেরণের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটিই তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির কারণে অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা তথ্য প্রযুক্তি কি? এটি ভালভাবে বুঝতে হবে।
পরবর্তী বিদ্যাপাতায় তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে
উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি উপাত্ত কাকে বলে? । উপাত্ত কাকে বলে? ।কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে সে সম্পর্কিত বিক্ষিপ্ত ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বলে। যেহেতু, ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বলা হয়, সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন হতে পারে। নিম্মোক্ত আর্টিকেলে উপাত্ত (Data) এবং তথ্য (Information) এর সংজ্ঞা ও পার্থক্য নিয়ে আলোকপাত করা হল।
তথ্য কাকে বলে?
ডেটাকে (Data) প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থায় পাওয়া যায়, তাকে তথ্য (Information) বলে। তথ্য হল প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা, যা আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যকে প্রক্রিয়াকৃত, সংগঠিত, সুনির্দিষ্ট এবং কাঠামোগত উপাত্তের রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে এবং ডেটার নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করে। যে কোন তথ্য বা ইনফরমেশন থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যায় না।
উপাত্ত কাকে বলে?, উপাত্ত কত প্রকার কি কি, তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে গণিত, উপাত্ত কি, তথ্য ও উপাত্ত বলতে কি বুঝ, উপাত্ত কাকে বলে ict, পরিসংখ্যানের উপাত্ত কাকে বলে?
উপাত্ত কত প্রকার কি কি
ডেটা (Data) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Detum)' থেকে উদ্ভূত। উপাত্ত (DATA) হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি হতে পারে।
বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকা যে কোনো বর্ণ, চিহ্ন বা সংখ্যা হলো ডেটা। ডেটা হলো প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব অবস্থা যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডেটা কোনো কিছুর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থবহ ধারণা দিতে পারে না।
তথ্য এবং উপাত্ত এর পার্থক্য
১. সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যদিকে ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায়, তাকে তথ্য বলে।
২. ডেটা হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পূর্বের অবস্থা। তথ্য হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা।
৩. উপাত্ত সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে তথ্য সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
৪. উপাত্ত দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে তথ্য দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায়।
৫. উপাত্ত তথ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্যে রূপান্তরিত হয়।
৬. সব উপাত্তই তথ্য নয়। অন্যদিকে সব তথ্যই উপাত্ত হতে পারে।
৭. উপাত্ত রূপান্তরের সময় সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান বাছাই করা হয়। কিন্তু তথ্য সবসময় তার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রত্যাশার জন্য সুনির্দিষ্ট।
তথ্য ও উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য
কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান লাভ করতে হলে সেটির সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলে। যেহেতু ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলা হয় সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
আসলে ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা,চিহ্ন বা যে কোন কিছু হতে পারে। ডেটা সাধারণত কোন সুনির্দিষ্ট বা যথাযথ অর্থ প্রকাশ করে না। কিন্ত এই অগোছালো বা এলোমেলো ডেটাগুলোকে যৌক্তিক কোনো সিকোয়েন্স বা পরিসজ্জায় উপস্থাপন করলে তা একটি যথাযথ অর্থ প্রকাশ করবে যেখান থেকে কিছু সম্পর্কে জ্ঞান বা ধারণা অর্জন সম্ভব হবে।
এটিকেই তথ্য বলা হয়। একটি তথ্যের দুইটি অংশ থাকতে হবে। এদের একটি হলো ডেটা ,যেটি আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বৈশিষ্টাবলির মান প্রকাশ করে এবং অপরটি হলো নলেজ বা জ্ঞান যা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সত্যিকার কি সে সম্পর্কে একটি ধারণা প্রকাশ করে।
তথ্য ও উপাত্তের মধ্যে পার্থক্যঃ
১। উপাত্ত(DATA) হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক। অর্থাৎ ডেটা একটি একক ধারণা। সুনির্দিষ্ট আউটপুট বা ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যদিকে ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায় তাকে তথ্য বলে। ডেটা হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পূর্বের অবস্থা। তথ্য হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা।
২। উপাত্ত(DATA) সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে তথ্য(INFORMATION) সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
৩। উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়। অন্যদিকে তথ্যকে প্রক্রিয়াকরণ করতে হয় না।
৪। উপাত্ত(DATA) দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে তথ্য(INFORMATION) দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায়।
৫। উপাত্ত(DATA) তথ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্যে রূপান্তরিত হয়।
৬। সব উপাত্তই তথ্য নয়। অন্যদিকে সব তথ্যই উপাত্ত হতে পারে।
৭। কোন একজন ছাত্রের নাম, ঠিকানা, রোল নম্বর হচ্ছে উপাত্ত(DATA)। অন্যদিকে ছাত্রদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি ফলাফল হচ্ছে তথ্য(INFORMATION)।
উপাত্ত ও তথ্যের ধারণা এবং পার্থক্য
উপাত্ত বা ডেটা হলো প্রতীকী উপস্থাপনা (সংখ্যাসূচক, বর্ণমালা, ইত্যাদি), বা কোনও সত্তার বৈশিষ্ট্য। ডেটার নিজের কোনও শব্দার্থক মান (অর্থ) নেই, এর মধ্যে কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, অ-শ্রেণিবদ্ধ, অসংগঠিত সত্তা রয়েছে যা সত্যিকার অর্থে কিছুই বোঝায় না।
তবে সুবিধাজনকভাবে ব্যবহার (প্রক্রিয়াজাতকরণ) গণনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্য সম্পাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেটা একটি কাঁচামাল এবং অসংগঠিত সত্য যা অর্থবহ করে তুলতে এটি প্রক্রিয়া বা প্রক্রিয়াজাতকরণ করা প্রয়োজন।
“সুনির্দিষ্ট আউটপুট বা ফলাফল পাওয়ার জন্যে প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। ডেটা একটি একক ধারনা অর্থাৎ ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম এককই হচ্ছে ডেটা। Datum শব্দের বহুবচন হল ডেটা (Data) যার অর্থ (Fact)। ডেটা এক বা একাধিক বর্ণ, চিহ্ন বা সংখ্যা হতে পারে”। (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান)
তথ্যের ধারনাঃ
তথ্য একটি ডেটা বা উপাত্তের সেট যা প্রদত্ত প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী অর্থবহ পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তথ্যটিকে অর্থবহ এবং দরকারী করে তোলার জন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কাঠামোগত বা প্রদত্ত প্রসঙ্গে উপস্থাপন করা হয়।
তথ্য আপনাকে এমন কিছু সম্পর্কে অবহিত করে। যা একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেয়। এটি একটি নির্দিষ্ট সত্য বিষয়কে উপস্থাপন করে।
‘‘ কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে কম্পিউটারে ডেটা বা উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ফলে প্র্রাপ্ত ফলাফলকে ইনফরমেশন বলে।” (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান)
উপাত্ত ও তথ্যের পার্থক্য:

উপাত্ত:
ডেটা বা উপাত্ত হলো কাঁচামাল বা অগুছালো সংখ্যা, বর্ণ এবং অসংগঠিত তথ্য যার প্রক্রিয়া করা প্রয়োজন।
ডেটা অর্থহীন এবং মূল্যহীন।
প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরীক্ষার স্কোর ডেটার একটি উদাহরন।
“ডেটা” শব্দটি একবচন ল্যাটিন শব্দ, ড্যাটাম থেকে এসেছে, যার মূল অর্থ “প্রদত্ত কিছু”। এর প্রাথমিক ব্যবহার 1600 এর দশকের। সময়ের সাথে সাথে “ডেটা” ডেটামের বহুবচন হয়ে উঠেছে।
এটি কেবল বর্ণ এবং সংখ্যা।
ডেটা বা উপাত্ত কম্পিউটারের জন্য একটি ইনপুট।
ডেটা হারিয়ে গেলে, এটি পুনরুদ্ধার করা যায় না
তথ্যঃ
তথ্য কম্পিউটার থেকে প্রাপ্ত একটি আউটপুট।
তথ্য ডেটা বা উপাত্তের উপর নির্ভরশীল।
তথ্য হারিয়ে গেলে, এটি ডেটা থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে।
তথ্য অর্থবহ এবং মূল্যবান।
যখন ডেটা প্রক্রিয়াজাত করা, সংগঠিত, কাঠামোগত বা কোনও নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে উপস্থাপন করা হয় যাতে এটি কার্যকর অর্থবহ হয়, তাকে তথ্য বলা হয়।
তথ্য গবেষকের কাছে মূল্যবান এবং দরকারী কারণ এটি প্রদত্ত প্রসঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং গবেষকের কাছে এটি ব্যবহারের জন্য সহজেই উপলব্ধ।
ডেটা হল সেই তথ্য ও বর্ণনা যা থেকে তথ্য বের করা যায়। একা তথ্যের কোনও নির্দিষ্ট অর্থ নেই, অর্থাত্ যতক্ষণ না ডেটা ব্যাখ্যা করা হয়, এটি কেবল সংখ্যা, শব্দ এবং চিহ্নের সংগ্রহ। অন্যদিকে, তথ্যের সঠিক অর্থ অর্থ রয়েছে এবং ব্যবহারকারী খুব সহজেই তা বুঝতে পারেন।
Desclamer: Quara